একটি পূর্ণাঙ্গ ডায়াবেটিক হাসপাতাল করার কাজ এগিয়ে নেয়া হবে
কক্সবাজার ডায়াবেটিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত।
কক্সবাজার ডায়াবেটিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা গতকাল ২ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বিশ্বের দীর্ঘতম সাগর পাড়ের শহর কক্সবাজারে মানসম্পন্ন একটি পুর্ণাঙ্গ ডায়াবেটিক হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তার উপর বক্তারা আবারো গুরুত্বারোপ করেছেন। বক্তারা এ ব্যাপারে অঙ্গীকার পূণব্যক্ত করে বলেছেন হাসপাতালের জন্য নতুন করে নির্ধারিত জমিতে একটি পূর্ণাঙ্গ ডায়াবেটিক হাসপাতাল করার কাজ এগিয়ে নেয়া হবে।
গতকাল শনিবার সকালে ডায়াবেটিক হাসপাতাল ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি ও বিশিষ্ট রাজনীতিক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা। সভায় বলা হয়েছে ১৯৯৪ সালে সমিতি পরিচালিত এই ডায়াবেটিক হাসপাতালটি স্থান বিমান ঘাঁটির জন্য ছেড়ে দিতে হচ্ছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন নতুন করে বিয়াম ফাউন্ডেশন ভবন সংলগ্ন এলাকায় ডায়াবেটিক হাসপাতারের জন্য জমি নির্ধারণ করে দিয়েছে। নতুন করে নির্ধারিত জমিতেই শীঘ্র হাসপাতাল ভবন নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করা হবে। দক্ষিন চট্রগ্রামের একমাত্র কক্সবাজার ডায়াবেটিক হাসপাতালটিতে নিবন্ধিত ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ২৯ হাজারের বেশী। এ পর্যন্ত হাসপাতালে ৩ লাখ ২৫ হাজারের বেশী রোগীর চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে।
ডায়াবেটিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভার প্রারম্ভে প্রবিত্র কোরান থেকে তেলাওয়াত করেন হাসপাতাল মসজিদের ইমাম মওলানা নূরুল আমিন। সভায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তোফায়েল আহমদ সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন, নীরিক্ষা প্রতিবেদন ও বাজেট উপস্থাপন করেন।
বার্ষিক সাধারণ সভায় একজন দাতা সদস্য সহ ৬৫ জন আজীবন সদস্যের মৃত্যু্তে শোক জ্ঞাপন করা হয়। সাধারন সভায় বার্ষিক প্রতিবেদন ও ডায়াবেটিক হাসপাতাল নিয়ে পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য প্রদান করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এম এম সিরাজুল ইসলাম, এডভোকেট ফরিদুল আলম, এডভোকেট আয়ছুর রহমান, এডভোকেট তাপস রক্ষিত, এডভোকেট নাসির উদ্দিন, এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, সাবেক পৌর কমিশনার আবু জাফর ছিদ্দিকি, উদয় শংকর পাল মিঠু, হারুন অর রশিদ, পরিতোষ পাল প্রমুখ।