এক রাতে ২০ টাকার বদলে টমটম ভাড়া ৫০, ব্যাপক প্রতিক্রিয়া
প্রথমবারের মতো ২০টি বগিতে ১ হাজার ১০ জন পর্যটক নিয়ে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছেছে এই রুটের প্রথম বাণিজ্যিক ট্রেন ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’। আর ট্রেনে কক্সবাজারে আসা পর্যটকদের রেল স্টেশন থেকে কক্সবাজার শহরে যাতায়াত নির্বিঘœ ও হয়রানিমুক্ত করতে কক্স-ক্যাব (টমটম) এর ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশ।
কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন থেকে কক্সবাজার শহরে যেকোনো হোটেল পর্যন্ত কক্স-ক্যাব (টমটম) এর ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে জনপ্রতি ৫০ টাকা এবং রিজার্ভ ২০০ টাকা। এসময় কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় প্রায় আড়াই শতাধিক কক্স-ক্যাব (টমটম) এর চালকেরা।
নিরাপদ ও পর্যটন বান্ধব ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা গড়ার লক্ষ্যে এমন উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী। পাশাপাশি নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দময় ভ্রমণের জন্য কক্স-ক্যাব নিবন্ধিত চালকদের গাড়ি(টমটম) ব্যবহার করার আহŸান জানান তিনি।
জেলার পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী ঘোষণা দেন, ট্রেনে কক্সবাজারে আসা পর্যটকদের রেলস্টেশন থেকে কক্সবাজার শহরে আসাকে নির্বিঘœ ও হয়রানিমুক্ত করতে ‘কক্স-ক্যাব’ অ্যাপে ইজিবাইক সেবা চালু করা হয়েছে।
নিরাপদ ও পর্যটনবান্ধব ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা গড়ার লক্ষ্যে এমন উদ্যোগ এবং নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দময় ভ্রমণের জন্য কক্স-ক্যাব নিবন্ধিত চালকদের গাড়ি (টমটম) ব্যবহার করার আহŸান জানান পুলিশ কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন চৌধুরী।
এদিকে কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক টমটমের এ ভাড়া নির্ধারণে সচেতন মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, কক্সবাজার প্রেসক্লাব সভাপতি আবু তাহেরসহ অনেকেই বলেছেন ভাড়া নির্ধারণের এই কাজ ট্রাফিক বিভাগের নয়।
জানতে চাইলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অ্যাপটি চালু করা হয়েছে। নিবন্ধন করা হয়েছে চালকদের। অ্যাপের মাধ্যমে চালকরাই এ ভাড়া নির্ধারণ করেছে। যেহেতু সমালোচনা হচ্ছে তাই পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’