কক্সবাজার

‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ ছুটবে পহেলা ডিসেম্বর

রাজধানী থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজারগামী প্রথম ট্রেনটির নামকরণ করা হয়েছে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহেই নতুন এই ট্রেনের নাম দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রথম পর্যায়ে পহেলা ডিসেম্বর এককভাবে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ চলাচল করলেও আগামী বছরের শুরুতে এই বহরে যুক্ত হচ্ছে আরও সাত জোড়া আন্তঃনগর এবং কমিউটার ট্রেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং চাঁদপুরের পাশাপাশি রাজশাহী রুট থেকে ট্রেন যুক্ত হচ্ছে কক্সবাজারের পথে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি করা বিলাসবহুল এই ট্রেনের সরকারি নাম ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’। গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ট্রেনের উদ্বোধন করলেও রাজধানী ঢাকা থেকে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে পহেলা ডিসেম্বর। ওই দিন রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে যাত্রা করে চট্টগ্রামে স্বল্প বিরতির পর ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে পৌঁছাবে কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনে। এই ট্রেনের জন্য ৬টি নাম প্রস্তাব করা হলেও প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ নামকরণ করেছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. শহিদুল ইসলাম জানান, পহেলা ডিসেম্বর ঢাকা থেকে যে পহেলা ট্রেনটি চলবে; এটার সময় ধরা হয়েছে ৮ ঘণ্টা ১০ মিনিট। ট্রেনটি রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা থেকে ছাড়বে সকাল ৬টায় কক্সবাজার পৌঁছাবে।

অ্যাডিশনাল রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. জাকির হোসেন বলেন, নতুন এই রুটে পর্যায়ক্রমে আরও সাত জোড়া আন্তঃনগর এবং কমিউটার ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে দুই জোড়া, ঢাকা থেকে আরও এক জোড়া এবং চাঁদপুর থেকে এক জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন ছাড়াও চট্টগ্রাম থেকে চলবে একাধিক কমিউটার ট্রেন। এমনকি রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল রাজশাহী থেকেও এক জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালুর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন রুট থেকে কক্সবাজারগামী রুট হবে। এছাড়া উত্তরবঙ্গ থেকে আমাদের ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা আছে। তবে সেটা সময় সাপেক্ষে।
চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার যাত্রাপথে বিরতির জন্য ৯টি স্টেশন থাকলেও এখন পর্যন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে শুধুমাত্র কক্সবাজারের আইকনিক স্টেশনে বলে জানান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার মো. সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কার কতজন লোক লাগবে এবং কি কি সরঞ্জাম লাগছে তা প্রস্তুত করছি আমরা। আগামী সপ্তাহে ট্রলিতে করে সেখানে গিয়ে দেখে আর কি কি লাগবে তার ব্যবস্থা করতে হবে।
রাজধানী ঢাকা থেকে কক্সবাজারের এই ট্রেনের টিকিটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বনিম্ন ৫১৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩৬ টাকা। আর সময় লাগবে ৮ ঘণ্টা ১০ মিনিট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *