ক্যাম্পে চার খুনের নেপথ্যে আরসা প্রধানের নির্দেশ !
আরকান রোহিঙ্গা সালভেশন আমি (আরসা), নানা কারণে আলোচিত রোহিঙ্গাদের এই উগ্রপন্থী সংগঠনের প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি।
পুলিশের দাবী- জুনুনি একসময় শুন্য রেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করতো বলে জোর আলোচনা ছিলো। তবে ক্যাম্পটি বর্তমানে না থাকায় রাখাইনের মংডুর দুর্গম পাহাড়ে তার বিচরণ থাকতে পারে বলে ধারণা রোহিঙ্গা সহ সংশ্লিষ্টদের। অবস্থান নিয়ে মতানৈক্য থাকলেও এটা নিশ্চিত প্রযুক্তির ব্যবহার করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাস করা আরসা সদস্য ও সমর্থকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন আতাউল্লাহ জুনুনি।
বান্দরবান জেলার একটি আদালতে আরসার প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনিসহ তার ৪৯ জন সহযোগীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর দুইদিন অতিবাহিত না হতেই মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) একদিনেই ৪ রোহিঙ্গা নিহতের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, আরসা তাদের আধিপত্য ধরে রাখতে প্রতিপক্ষ আরএসওর সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।
আতাউল্লাহর গ্রেফতারি পরোয়ানার সাথে এই ঘটনাগুলোর সংশ্লিষ্টতা খোঁজ নিতে গিয়ে পাওয়া যায় একটি অডিও বার্তা।
যেখানে রোহিঙ্গা ভাষায় জুনুনি বলেন, ”আরার কওমের শত্রু যারা তারারে আর ছার দিয়া ন যাইবু। তোয়ারা মসোয়ারা গরো, ইতারারে কেন গরিবা গরো।”
(আমাদের জাতির শত্রু যারা তাদের আর ছাড় দেওয়া হবে না। তোমরা পরামর্শ করে ওদের কি করবে করো।)
এসব বার্তা ও নির্দেশনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে তার অনুসারীরা বিভিন্ন কৌশলে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রোহিঙ্গা অধিকার কর্মী।
তিনি বলেন, ”আতাউল্লাহ চায় না আমরা দেশে ফিরি, সে আমাদের ভাগিয়ে এনেছিলো এখানে। এখন যেহেতু আমাদের ঘরে ফেরার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে সে তার ভাড়াটে অনুসারীদের দিয়ে এসব অরাজকতা করাচ্ছে। আমরা আতংকিত।”
১৪ এপিবিএন অধিনায়ক মোহাম্মদ ইকবাল ( অতিরিক্ত ডিআইজি) কে বলেন, ”অপরাধী যেই হোক না কেন, আমরা তাদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। সাধারণ রোহিঙ্গাদের আতংকের কিছু নাই, আমরা তাদের নিরাপত্তা দিচ্ছি।”
গত ১৫ দিনে সাবেক এক রোহিঙ্গা নেতা (হেড মাঝি) সহ ৯ জন রোহিঙ্গা হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন। সব মিলিয়ে গত ১০ মাসে কমপক্ষে ৭০ টি ঘটনায় ৮১ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে।