মহেশখালী

জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত মহেশখালী উপজেলা ভূমি অফিস

মহেশখালীতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ তাছবীর হোসেন যোগদানের পর অতীতের চেয়ে ভূমি সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। অফিসে আগের মত নেই কোনো অস্বচ্ছতা-অনিয়ম।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর দক্ষতা ও কর্মনিষ্ঠতার কথা বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের কাছ থেকে শোনা গেছে। প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে নামজারিসহ অন্যান্য ব্যবস্থাপনা সেবা প্রত্যাশীরা খুব সহজেই পেয়ে যাচ্ছে। জনগণ এখন ঘরে বসেই নামজারির আবেদন থেকে শুরু করে খতিয়ান পাওয়া পর্যন্ত কাজ গুলো স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারছে।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ তাছবীর হোসেন বলেন, “বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ এবং স্মার্ট ভূমি সেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে জনগণকে সর্বোচ্চ সহযোগীতা প্রদানে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। এখন ঘরে বসেই জনগণ অনলাইন শুনানি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে তাঁদের কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন। নামজারি আবেদন করার সাথে সাথেই সেটি সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তৃক গৃহীত হয়ে ১-২ দিনের মধ্যেই ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার আইডিতে যাচাই বাছাই করার জন্য প্রেরণ করা হয়, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তা ৪-৫ দিনের মধ্যে যাচাই করে প্রস্তাবপত্র সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর পাঠিয়ে দিলে কানুনগো’কে ৩-৪ দিনের মধ্যে রেকর্ডপত্র যাচাই করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয় এবং রেকর্ডপত্র যাচাইক্রমে সঠিক পাওয়া গেলে বাদী ও বিবাদীর শুনানী গ্রহণ সাপেক্ষে ৩ দিনের মধ্যে আবেদনটি নিষ্পত্তি করা হয়। একটি নামজারি মামলা নিষ্পত্তি করতে মোট সময় লাগে ১৪-১৬ দিন। ফলে ২৮ দিনের আগেই সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফী বাবদ ১১৭০/- টাকা খরচ করেই সেবা প্রার্থীরা তাঁদের খতিয়ান পেয়ে যাচ্ছেন ঘরে বসেই। নামজারি ডাটাবেজটি সরকার কর্তৃক সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে, যে কেউ যেকোন সময় নিষ্পত্তির বিষয়ে সকল হালনাগাদ তথ্য উক্ত ডাটাবেজ থেকে সংগ্রহ করার সূযোগ রয়েছে। সেবাগ্রহীতারা অফিসে সময় ও অর্থ খরচ না করে সিটিজেন চার্টার দেখে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছেন।

তিনি আরও জানিয়েছেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার হিসেবে মুজিববর্ষের ঘর দেওয়ার কার্যক্রম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সার্বিক সহযোগীতায় চলমান রয়েছে। তাছাড়া যথাসময়ে রেকর্ড সংশোধনী মামলা সহজভাবে নিষ্পত্তিকরণ, এম.আর মামলার প্রতিবেদন প্রেরণ, ভি.পি মামলার আদায়, চান্দিনা ভিটি, বাজার পেরিফেরী ও জলমহাল সংক্রান্ত কার্যক্রম, জমি ক্রয় বিক্রয়ের অনুমতির বিষয়ে জেলায় প্রতিবেদন প্রেরণ, দেওয়ানি মামলার সরকারি স্বার্থজড়িত এস.এফ প্রেরণ ও সরকারি ০১ নং খাস খতিয়ানভূক্ত জমি রক্ষার প্রভৃতি কাজ অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে করে যাচ্ছি।

পরিশেষে বলেন, সরকার হলো জনগণের সেবক, আর তাই সরকারের অংশ হিসাবে জনগণকে সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে শতভাগ নিশ্চিত করবো ইনশাআল্লাহ।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *