জেলের ছদ্মবেশে পুলিশ, তারপর পলাতক আসামি গ্রেফতার
দেখুনতো ছবিটি চিনতে পারছেন কি না ? উপরের ছবিটা না চেনার কথা না। দেখা মাত্র সবাই চিনে ফেলেছেন, তাই না? হাতে ব্যাগ এবং গলায় গেঞ্জি পেছানো নিশ্চিত তিনজন জেলে মাছ বিক্রি করার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম যাত্রা করবে এটায় ভাবছেন তো। কিন্তু বিষয়টি একদম আলাদা গলায় গেঞ্জি পেছানো যে লোকটি দেখছেন তিনি কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইস্রাফিল আর ব্যাগ হাতে যিনি দাঁড়িয়ে আছে তিনি কনস্টেবল সাহাব উদ্দিন আর যার উদ্দেশ্যে এ ছদ্মবেশ ধারণ করা তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার নং- ৪ এর পলাতক আসামি শাখাওয়াত হোসাইন (২২)।
সে উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের পশ্চিম বাকঁখালী এলাকার ফরিদ আলমের ছেলে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মধ্যম বাঁকখালী এলাকা থেকে ছদ্মবেশে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের দুই সদস্যের একটি টিম।
মামলার বাদীর হাবিব উল্লাহ জানান, প্রাইভেটের যাওয়ার সময় গত ২১ আগস্ট কলেজ শিক্ষার্থী আসমাউল হুসনাকে অপহরণ করে তুলে নিয়ে যায় শাখাওয়াত হোসাইনের নেতৃত্বে মৃত মোক্তার আহমেদের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৫), জাকের হোসাইন ছেলে ফরিদ আলম (৫০) । পরে, পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে তিনি বাদী হয়ে মামলা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা নং ৪‘র এক নং আসামী শাখাওয়াত হোসাইন (২২) বাকঁখালী এলাকায় রয়েছেন। এসময় তার টিম ছদ্মবেশে আসামিকে গ্রেফতার করেন। উক্ত আসামীকে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।