ট্রেনের টিকিট দেখালে কক্সবাজারে হোটেলে মিলবে ৭০ শতাংশ ছাড়
আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচলের মধ্য দিয়ে শত বছরের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের। এবার কক্সবাজারে আসা পর্যটকদের জন্য বিশেষ ছাড় দিচ্ছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। ট্রেনের টিকিট দেখালেই ৬০-৭০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে তারা। কক্সবাজারে পর্যটক বাড়াতে এ উদ্যোগ কাজে আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
তথ্যমতে, শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে ১ হাজার ২০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে কক্সবাজার ছেড়ে যায় ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’। ফিরতি ট্রেনটি শনিবার সকাল ৮টায় কক্সবাজার স্টেশনে এসে পৌঁছে। ট্রেনে আসা এসব পর্যটকদের জন্য ৬০-৭০ শতাংশ ছাড় রেখে কক্সবাজারে স্বাগত জানান হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতি। ট্রেনের টিকিট প্রদর্শন করলে এ সেবা পাবেন পর্যটকরা। সকালে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে সমিতিভুক্ত হোটেলের পক্ষ থেকে পর্যটকদের মধ্যে প্রচারপত্র বিলি করা হয়। একই সঙ্গে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয় পর্যটকদের। এ সময় ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজারবাসীর শত বছরের স্বপ্নপূরণ করেছেন। এ আনন্দে হোটেল কর্তৃপক্ষ বিশেষ এ ছাড় দিচ্ছে। আগামী সাত দিন এ অফার থাকবে বলেও জানান তারা।
কলাতলী হোটেল বিচ হলিডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাফিজুর রহমান লাভলু বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তর করেছেন। এ খুশিতে পর্যটকদের জন্য এ ছাড়ের ব্যবস্থা করেছি।
হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ নেওয়াজ চৌধুরী বলেন, ট্রেন চালু হওয়ায় শুধু কক্সবাজারের মানুষ নয়, পুরো দেশের মানুষ আনন্দিত। দেশের যেকোনো প্রান্তের মানুষ সহজেই কক্সবাজার আসতে পারবে। এ খুশিতে আমরা বিশেষ এ ছাড় দিচ্ছি। ট্রেনের টিকিট প্রদর্শন করলেই এ সুযোগ পাবেন পর্যটকরা। আগামী সাত দিন এ সুযোগ পাবেন পর্যটকরা।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রতি বছর এ সময় পর্যটকে ভরপুর থাকে কক্সবাজার। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এবার ভরা মৌসুমেও পর্যটকশূন্য কক্সবাজার। ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে পর্যটনশিল্পসহ সব ধরনের ব্যবসায়ীদের। অনেক হোটেল কর্তৃপক্ষ শ্রমিক ছাঁটাই করেছেন। প্রায় ৫০ ভাগ রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন মালিক। এ অবস্থায় ট্রেনে পর্যটক আগমনে ক্ষতি কমিয়ে আনতে চেষ্টা করছে তারা। আর পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে পুলিশ।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, ‘কক্সবাজারে পর্যটকদের নিরাপদে আসা-যাওয়া নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশের একাধিক টিম কাজ করবে। টহল টিমের পাশাপাশি থাকবে স্পেশাল ফোর্স। এ ছাড়া পর্যটকদের সুবিধার্থে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম, জরুরি সেবা ও হটলাইন।’