জাতীয়

সরকার একটি গ্রেটার এনিমি ফেস করছে

সরকার একটি গ্রেটার এনিমি ফেস করছে উল্লেখ করে এই গ্রেটার এনিমি দমন করে দেশকে রক্ষা করার জন্য কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠকে। রবিবার (৪ আগস্ট) সকালে গণভবনে কমিটির আহ্বায়ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

রবিবার বিকালে সংসদ ভবনের টানেলে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানান।

নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির বৈঠকের প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ওই বৈঠকে তিন বাহিনীর প্রধান থেকে শুরু করে সব সংস্থার প্রধানরা ছিলেন। সরকারের অন্য মন্ত্রীরাও ছিলেন। একটি ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। এখানে সবাই একটা সেম পেজে আছেন। আমরা একটা গ্রেটার এনিমি ফেস করছি, যারা ধ্বংসাত্মক, কেপিআই প্রতিষ্ঠানগুলো যারা পুড়িয়ে দিচ্ছে, তারা পোড়াচ্ছে, মারছে, ধ্বংস করছে। মানুষের সম্পদ নষ্ট করছে। মানুষকে হত্যা করছে। তারা মানুষের মধ্যে এক ধরনের আবেগ তৈরি করে দেশকে ধ্বংসের পথে নিচ্ছে। কাজেই গ্রেটার যে এনিমি, তাদেরকে কীভাবে… দেশকে রক্ষা করার জন্য কাজ করতে হবে। সে ব্যাপারে সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, অঙ্গীকারাবদ্ধ। কোনও ধরনের গুজবে আপনারা কান দেবেন না।’

তিনি বলেন, ‘একইসঙ্গে এ দেশে যে শিক্ষার্থী, ছাত্র-ছাত্রী আছে, তাদের আবেগ অনুভূতি এবং বাবা-মা যারা আছেন, তাদের পক্ষে আমরা  আছি। তাদের আবেগকে আমরা সমর্থন করি। তাদের নিরাপত্তা ও প্রকেটশনে আমরা কাজ করবো।’

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আজকে সন্ত্রাসীরা হাসপাতাল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের ওপর যে আক্রমণ করেছে, সেটা পরিষ্কার। প্রধানমন্ত্রী এই সন্ত্রাসীদেরকে দমন করার জন্য জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন।’

শহীদ মিনারে ৪০ হাজারের মতো লোক জড়ো হয়েছিল উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তারা সাধারণ মানুষের মধ্যে আন্দোলনকে সাড়া ফেলতে না পেরে, আজকে সহিংসতার পথ বেছে নিলো। সকাল থেকে আগুন লাগানো ও মারামারি শুরু করলো।’

তিনি বলেন, ‘শহীদ মিনারের মঞ্চে কতগুলো পরিচিত বিএনপি-জামায়াতি লোকজন ছিল। তারাই ছাত্রদের ঘাড়ে চেপে এ ধরনের কাজটি করেছে। এর মধ্য দিয়ে তারা ন্যায্য অবস্থান থেকে সরে সন্ত্রাসে গেলো। আজ থেকে সন্ত্রাস শুরু হয়ে গেলো। আমরা তো ধৈর্য ধরছি। আমরা জাতি ও বিশ্বকে দেখাতে চাই যে, সন্ত্রাসটা কারা করে। তারা এটা দেখুক। না হলে তারা বলবে আমরা নেমেছি, অন্যায়টা করেছি, পুলিশ এগুলো করছে।’

আরাফাত বলেন, ‘পুলিশকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা এটা সাধারণ মানুষের কাজ নয়। সাধারণ ছাত্রদেরও কাজ নয়। আর যারা ওই লাশের ছবি ফেসবুকে দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বলে, এই মানসিকতার মানুষ দেশ চালাবে? আপনারা বুঝে নেন আপনাদের ভাগ্যে কী আছে?’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *