আন্তর্জাতিক

২০১৫ সালের পর কোনো দেশে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠায়নি জাতিসংঘ

আগামী ৭ই জানুয়ারি বাংলাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সবার আগ্রহ আন্তর্জাতিক সংস্থার পর্যবেক্ষক পাঠানো নিয়ে। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফানি ডুজারিক জানিয়েছেন, “আমাদের তেমন (নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো) কোনো পরিকল্পনা নেই। সুনির্দিষ্ট/বিশেষ কোনো কারণ না থাকলে আমরা এটা (পদক্ষেপ নেওয়া) করিও না।’
২০১৫ সালের পর থেকে জাতিসংঘ কোনো দেশে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, কেবল জরুরি পরিস্থিতিতেই পর্যবেক্ষক পাঠায় জাতিসংঘ, বাংলাদেশে তেমন পরিস্থিতি যেহেতু নেই সেহেতু পর্যবেক্ষক পাঠাবে কী পাঠাবে না সে আলাপ তোলার সুযোগ নেই।
বুধবার ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফানি ডুজারিক বলেন, “সুনির্দিষ্ট ‘ম্যান্ডেট’ ছাড়া আমরা এমন সিদ্ধান্ত খুব কম, খুবই কম নিই। সেইসঙ্গে সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না তারা।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অন্যান্য সংস্থার প্রতিবেদন দেখেছি। আমরা আবারও সংশ্লিষ্ট সব দলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যাতে জনগণ অবাধে, স্বাধীনভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে, তা যেন হয়রানি মুক্ত হয়।”
কী প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত হয় জানতে চাইলে বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিসংঘ নির্বাচনী সহায়তা পলিসি একটি জটিল প্রক্রিয়া। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সহ যে কোনো নির্বাচনে জাতিসংঘের সহযোগিতার জন্য বেশকিছু জটিল ধাপ পেরুতে হয়। জাতিসংঘ নির্বাপত্তা পরিষদ বা সাধারণ পরিষদের ম্যান্ডেট লাগে, অথবা কোনো দেশ যদি আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের কাছে নির্বাচনে সহযোগিতা চায়, সেক্ষেত্রে আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেলের অধীনস্ত “ইউএন ইলোক্টোরাল এসিস্ট্যান্স” বিভাগ নির্বাচনে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নেয়। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো একটি বিরল ঘটনা।
আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক মনে করেন এধরনের প্রশ্ন তোলাটা উদ্দেশ্যমূলক। যেটা সাধারত যে প্রতিষ্ঠানের করারই কথা না, সেটা নিয়ে অপ্রাসঙ্গিকভাবে প্রশ্ন করাটা থেকেই প্রশ্নকারীর উদ্দেশ্য বুঝা যায়। বিষয়টি এমন না যে জাতিসংঘ এ নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না। আসলে বিশেষ কোনো কারণ না থাকলে তারা এমনকিছু করার চিন্তাও করে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *